মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
মানচিত্র
পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

সাফ অনূর্র্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলের উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের ফুটবলারদের।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য ছিল বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনার দিন। কেননা এদিনে ফুটবল ও ক্রিকেটের দুটি বড় আসরে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় লাল-সবুজের দেশ। দুটিতেই ছিল ফাইনালে খেলার হাতছানি। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচে পাকিস্তানকে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের দেশ। কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচের তৃতীয় ও চতুর্থ মিনিটে গোল দুটি করেন যথাক্রমে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল ও অপু রহমান। দারুণ এই জয়ের ঘণ্টা তিনেক পর এশিয়া কাপ ক্রিকেটের অঘোষিত সেমিফাইনালে (সুপার ফোর) রূপ নেওয়া ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টাইগাররা জয় পেলে একই দিনে দুটি আসরের ফাইনালে খেলার অসাধারণ কীর্তির স্বাক্ষী হবে বাংলাদেশ! বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট দল মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিল।  কলম্বোয় ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তানকে চাপে রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে জয় ছিনিয়ে নেয় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এই গোলে পাকিস্তান গোলরক্ষক সামার রাজ্জাকের অবদান কম নয়! তার ভুলে বক্সের সামনে বল পান অপু রহমান; পাস বাড়ান নাজমুলের কাছে, গোলরক্ষক এগিয়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে ডান পায়ের প্লেসিং শটে জালে বল জড়ান বাংলাদেশের অধিনায়ক (১-০)।পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আগের গোলের অ্যাসিস্ট করা মোঃ অপু রহমান। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে জাল কাঁপান তিনি (২-০)। ১৩ মিনিটে আরেকবার জাল কাঁপান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হুদা। তবে গোলের উল্লাস করার আগেই বাজে অফসাইডের বাঁশি। কিছুক্ষণ পর আবদুল্লাহর গোলও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। দ্বিতীয়ার্ধে গোল সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিলেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। গোল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তানও। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের যুবারা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত ও নেপালের মধ্যে বিজয়ী দলের বিপক্ষে শনিবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মহারণে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে বাংলাদেশ।নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনালে নাম লেখায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। ছেলেদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এবারের আগে চারবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুইবার (২০১৫ ও ২০১৮)। এবার তাই তৃতীয় শিরোপার মিশন যুবাদের। তবে বর্তমান দলটির অধিনায়ক নাজমুল হুদা একবারও ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি। একবার-দু’বার না, চারবার না পাওয়ার হতাশা গ্রাস করেছে ফয়সালকে। কখনো সাফের শিরোপার মঞ্চে ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ, কখনো আবার এএফসির আসরে অল্পের জন্য কোয়ালিফাই করতে না পারার গ্লানি। ২০২২ সালে বয়সভিত্তিক দলে সুযোগ পাওয়ার পর অধিনায়ক হিসেবে এমন দুঃখই তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ফয়সালকে। আরেকটি সাফের মঞ্চে তাই হতাশা আর গ্লানি ভুলতে মুখিয়ে আছেন তিনি। সেমিফাইনালে জয়ের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘জিতে খুব ভালো লাগছে। সবাই খুব ভালো খেলেছে।যার যার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছে। আমরা সমর্থকদের ধন্যবাদ দেব। তারা সবসময় আমাদের পাশে থেকে সমর্থন করেন। আমরা এখানে (কলম্বো) এসেছি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। আশা করি সে লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘প্রথমে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানাই। আমরা আমাদের লক্ষ্যের কাছাকাছি এসেছি। তিনটি ম্যাচ জিতেছি। ছেলেদের পারফরমেন্সে আমি খুব খুশি। তারা দুর্দান্ত পারফরমেন্স প্রদর্শন করে চলেছে। সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজের সেরাটা দিচ্ছে। দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। তারা যেভাবে সমর্থন করে চলেছেন সেভাবেই যেন করেন। ছেলেরা লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি এসে গেছে। আমরা যেন ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে পারি এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এনবিআর ভাগ করায় রাজস্ব কমলেও পরিবেশ উন্নত হবে

দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল (এমএলটিআরএস) চালু করেছে। এর লক্ষ্য হলো- ২০৩৪-৩৫ অর্থবছরের মধ্যে কর-জিডিপি অনুপাত ১০ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জন করা। কৌশলটি বাস্তবায়নের আগে অতীতের সংস্কার পদক্ষেপগুলো কিভাবে এবং কেন সফল হয়নি তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) থেকে প্রকাশিত মে মাসের ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুকে এসব কথা বলা হয়েছে।প্রতিবেদনটি শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, জিডিপির শতাংশ হিসাবে বাংলাদেশের রাজস্ব তার সমকক্ষদের তুলনায় যথেষ্ট কম। ২০২৫ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এই অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহ গত অর্থবছরের তুলনায় কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মাত্র ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় করার সরকারের ইচ্ছা মূলত উচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের ওপর নির্ভর করে।মূল্যস্ফীতি বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি কমছে। এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মার্চ মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একইভাবে এপ্রিলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ হয়েছে। সরকারের গৃহীত সরবরাহ এবং চাহিদা- উভয় ক্ষেত্রের পদক্ষেপের ফলেই কমছে মূল্যস্ফীতি। চাহিদার দিক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবছর-২৫ এর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে, যার লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল করা। এছাড়া চাল এবং ভোজ্যতেলের মতো প্রয়েজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ওপর শুল্ক কমানোর মতো রাজস্ব নীতিগত পদক্ষেপগুলোও মুদ্রাস্ফীতির এ পতনে অবদান রেখেছে। বন্যা এবং অন্যান্য জলবায়ুগত ঘটনা না ঘটার কারণে মৌসুমি শাকসবজি এবং ফসলের প্রাপ্যতা সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশা অনুযায়ী জুনের শেষ নাগাদ ৭-৮ শতাংশের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ ধরনের প্রচেষ্টা অপরিহার্য।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বহিরাগত খাতের চাপ কমেছে। তবে আগামী মাসগুলোতে স্থিতিশীলতা এবং প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য টেকসই প্রচেষ্টার ওপর জোর দিতে হবে। এদিকে এপ্রিলে রপ্তানি মূল্য এবং প্রবৃদ্ধি উভয় দিক থেকেই অর্থবছরের সর্বনিম্ন ছিল, যা ৩ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি বছরে মাত্র ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি

এনবিআর ভাগ করায় রাজস্ব কমলেও পরিবেশ উন্নত হবে

অনলাইন জরিপ

আরও
১৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচনের বিষয়ে কি আপনি একমত ?

ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচনের বিষয়ে কি আপনি একমত ?

  হ্যাঁ
  না
  মন্তব্য নেই
মোট ভোটদাতাঃ জন